Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র ঠেকাতে ‘সবকিছু’ করবে ইসরাইল: নেতানিয়াহু

ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র ঠেকাতে ‘সবকিছু’ করবে ইসরাইল: নেতানিয়াহু

ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র ঠেকাতে ‘সবকিছু’ করবে ইসরাইল: নেতানিয়াহু

ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না দিতে আমি সবকিছু করব। এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা ব্যবহার করা হবে।”

এ মন্তব্যের পর, ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় চালু করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তেহরানের শীর্ষ কূটনীতিকরা। নেতানিয়াহু ইরানকে এ পথে যেতে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন এবং পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে দেশটির পরিকল্পনাকে ঠেকাতে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে ইসরাইল প্রস্তুত রয়েছে।

ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা শুরু করতে চলেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ইরান দাবি করে আসছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে না, বরং শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তির জন্য কাজ করছে। তবে, ইসরাইলের কাছে এটি একটি বড় ঝুঁকি, কারণ তারা একমাত্র দেশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্র ধারণ করছে, যদিও দেশটি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটি স্বীকার করেনি।

নেতানিয়াহু আরও বলেছেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা খাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যেন পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে না পারে। এমনকি গত মঙ্গলবার তিনি উল্লেখ করেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করবে। তবে, কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত বছর ইরান ইসরাইলে দুটি বড় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ইরানি জেনারেলদের হত্যার জেরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অন্তর্ভুক্ত। ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালিয়ে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোর লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে, যার মধ্যে সর্বশেষ ২৬ অক্টোবরের হামলা ছিল।

২০১৫ সালে, ইরান এবং বিশ্বের ছয়টি শক্তিধর দেশ পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যাতে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এখন এই চুক্তির প্রতি শঙ্কা বাড়ছে, এবং নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।

ইরান তার পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের ইচ্ছা বরাবর অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফতোয়া জারি করেছেন যে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না। তবে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মতে, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং এটি তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।